সৈয়দপুরে ইন্টারনেট সেবায প্রতারণা, অসহায় গ্রাহক

প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২০ 494 views
শেয়ার করুন
করোনায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও সীমিত পরিসরে বাহিরে যাওয়ার কারণে অনেকেই দৈনন্দিন কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন।
 
স্কুল-কলেজে ভার্চুয়াল ক্লাস ও কেনাকাটার মতো কাজও ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্যাপাসিটির অধিক গ্রাহক বাড়িয়ে বেশি আয় করার লোভে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে চলেছেন সৈয়দপুরে স্থানীয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা। প্রতারণা করে গ্রাহকদের কাছে থেকে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
 
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) এর কাছে বারবার অভিযোগ করলে তারা অভিযোগ গায়ে মাখেন না। এমনকি গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করতেও ছাড়েন না।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুরে আইসিসি, ইনফলিংক, লিংক ৩, কার্নিভাল, আম্বার আইটি, সেন্ট্রাল লিংক, ডাটা ফিউচার, নজরুল লিংক, ওয়েব লিংকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ব্যবসার সাথে জড়িত। এই সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেকেরই মাইক্রোটিক রাউটার ২৪ ঘন্টা চালু রাখার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে ইউজাররা ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন।
 
বাশঁবাড়ি এলাকার কোয়েলিয়া বিশ^াস নামের এক শিক্ষক বলেন, স্থানীয় একটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের কাছ থেকে মাসিক ৮০০ টাকায় সংযোগ নিয়েছেন। এজন্য তাকে ৮ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট দেওয়ার কথা। ৩০০ মিটারের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ থাকার কথা থাকলেও ১০ মিটারের বাইরে গেলে সংযোগ থাকে না।
 
এ বিষয় নেট ব্যবসায় জড়িত একটি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় কন্ট্রোল রুমে ম্যানেজেবল সুইজ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যখন অভিযোগ করা হয় তখন কম্পিউটার অফ করে অন করতে বলা হয়। এই সময় এক ঘণ্টার জন্য চাহিদার এমবিপিএস দেওয়া হয়। কম্পিউটারে কমান্ড দেওয়া থাকে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টার জন্য। এই সময় এমবিপিএস (গতি) ঠিক থাকে। একঘণ্টা পর অটো এমবিপিএস কমে যাবে। যা ইউজারদের প্রতারণা করা হচ্ছে।
 
ইন্টারনেট ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান লিংক ৩ এর মালিক মোঃ ফাইয়াজ কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শেয়ারিং বেশি হওয়া ও লোকাল নেটওয়ার্ক সমস্যা হলে ইন্টারনেট এর গতি কমে যায়।
 
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (দিনাজপুর অঞ্চল) মমতাজ বেগম জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারা বলা আছে গ্রাহকদের সাথে কোন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তি প্রতারণা করলে এক বছর কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।