মেহেরপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র প্রদানে অর্থ-বাণিজ্য

মিনারুল ইসলাম মিনারুল ইসলাম

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২০ 490 views
শেয়ার করুন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মার্কশিট ও প্রশংসা পত্র প্রদানে চলছে অর্থ-বাণিজ্য।
 
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এস এস সি পাশ ছাত্র/ছাত্রীদের প্রশংসা পত্র ও মার্কসিট প্রদানে অর্থ বানিজ্য চলছে। বিভিন্ন এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মার্কশিট ও প্রশংসা পত্র সংগ্রহ করতে গেলে ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা দাবি করছে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন।
 
নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, এই করোনা কালীন সময়ে অর্থনৈতিক সংকট চলা সত্বেও বাধ্য হয়ে এই টাকা দিয়ে আমরা মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র নিয়েছি।
 
সাহেবনগর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি জানান, প্রায় প্রত্যেকটা বিদ্যালয় কমবেশি টাকা নেয়া হয় তাদের তুলনায় আমরা অনেক কম টাকা নিচ্ছি।
 
সাহেবনগর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই টাকা আমরা নিচ্ছি। সাহেবনগর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লায়লা আনজুমান বানু জানান, সাধারণত গ্রাম্য এলাকার নিম্ন শ্রেণির পরিবারের সন্তানরা লেখাপড়া করে। মার্কশিট ও প্রশংসা পত্রের জন্য টাকা না নিতে আমার শিক্ষককে বলে দিচ্ছি।
 
বাওট সোলেমানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন জানান, এসএসসি রেজিস্ট্রেশন এর সময় ছাত্র-ছাত্রীরা টাকা কম দিয়েছে তাই প্রশংসাপত্র ও মার্কশিটের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে সেই টাকা নেওয়া হচ্ছে।
 
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার জানান, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্রের টাকা নেওয়ার কোন বিধি বিধান নেই, যদি কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় টাকা নিয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, যদি কোন বিদ্যালয় মার্কশিট ও প্রশংসা পত্রের জন্য অর্থ-বাণিজ্য করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।