দক্ষিণ সুনামগঞ্জে গরম মসলার বাজার গরম

প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২০ 569 views
শেয়ার করুন
দু’দিন পরেই পবিত্র ঈদ উল আযহা। কুরবানির এ ঈদকে ঘিরে গরম মসলা কিনতে বাজারে গরম মসলার দোকানগুলোতে একবার হলেও উঁকি মারছেন সাধারণ ক্রেতারা। কিনছেন প্রয়োজনীয় মসলা সামগ্রী।
 
বন্যা ও করোনা ভাইরাসের কারণে আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কুরবানির সংখ্যা কম হবে ধারণা করছেন অনেকে। তবু কিছুটা হলেও মসলার দরকার। এই ধারণা থেকে কিনে রাখছেন মসলা সামগ্রী। ক্রেতা ও দোকানিরা জানান, বাজারে গরম মসলার দাম উর্ধ্বগতি। দাম বেশি হওয়ায় যারা বেশি গরম মসলা কিনার আগ্রহ নিয়ে বাজারে আসেন কম পরিমানে কিনেই বাজার ছাড়ছেন। দামের উর্ধ্বগতির কারণে ব্যবসাও ভালো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হবেন তারাও।
 
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দু’সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে গরম মসলার দাম। আগে এলাচের দাম ছিলো প্রতিকেজি ২৫শ থেকে ২৫শ ৫০ টাকা। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে বর্তমানে ৩শ টাকা বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ২৮শ থেকে ২৮শ ৫০ টাকায়। আদা ১শ ৫০ টাকা থেকে ৯০ টাকা বেড়ে বর্তমান দাম দাঁড়িয়েছে ২শ ৪০ টাকায়। দারুচিনিতে কেজি প্রতি বেড়েছে ২০ টাকা, লবঙ্গের দাম ১ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২শ টাকায় জিরায় কেজি প্রতি বেড়েছে ২০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, কঠোর লকডাউনের সময় বা তার পরের সময় এলাচের দাম ছিলো ৪হাজার ৮শ টাকার। এরপর দাম প্রায় অর্ধেক কমলেও এখন আবার কেজিতে বেড়েছে ৩শ টাকা।
 
বুধবার বিকালে পাগলা বাজারে মসলা কিনতে আসেন পল্লীচিকিৎসক জিল্লুল হক। কথা হয় তাঁর সাথে। তিনি বলেন, ‘সামনে ঈদ। মসলার তো অবশ্যই দরকার। তাই কিনতে এসেছি। দাম আগের তুলনায় একটু বেশি। কিন্তু কি আর করার? কিনতে তো হবেই।’
 
গরম মসলা বিক্রেতা অখিল পাল বলেন, `দফায় দফায় বন্যা আর করোনা ভাইরাসের কারণে প্রধান প্রধান আড়তেই মসলার দাম বাড়তি। আমরা বাড়তি দরে কিনে বাড়তিতেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বাইরে থেকে মসলা আসছে না। তাই দাম বেশি।’