বৈশ্বিক মহামারী করোনার ধাক্কায় থমকে গেছে পুরো বিশ্বের অর্থনৈতি। যার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিতে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। বিপুল সংখ্যক মানুষ হারাচ্ছেন তাদের কর্মস্থল। করোনা নামের অদৃশ্য এ ভাইরাসের আতঙ্কে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষ ঘরবন্দি।
মহামারী নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সমগ্র পৃথিবী। কোভিড -১৯ সর্ম্পকে আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি তা কতটুকু সঠিক, নাকি তা বাহিরে রয়েছে বিস্তর আজানা। তার জন্যই হয়তো পুরো বিশ্বে অজানা এ ভাইরাসে আজ অবধি শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে নব্বই লক্ষ একান্ন হাজার তিনশত আটানব্বই। প্রাণ কেড়ে নিয়েছে চার লক্ষ সত্তর হাজার আটশত একুশ জনের।
স্বভাবতই আটকে আছে মানুষের নানা রঙ্গের লেনাদেনাও। বিভিন্ন কাজে ছুটে চলা মানুষ পারছেননা এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে। এমনকি নিজ দেশেও সম্ভব হয়ে উঠছেনা স্বভাব সুলভ ভাবে চলাফেরা করতে। প্রিয় মানুষটিকেও অনেক সময় জড়িয়ে ধরা হয়ে উঠছেনা পরম মমতায়। কি বলবো সব মিলিয়ে চরম এক ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে বিশ্বময়।
জীবিকার তাগিদে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা মানুষও আজ ভুলতে বসেছে দিন, ক্ষণ ও সময়। সবার মনে একই জানতে চাওয়া কবে আসবে আমাদের যা ছিল আগে প্রাত্যহিক কর্মচাঞ্চল্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনাকালীন এ সময়ে বাংলাদেশের মানুষও রয়েছেন মহা সংকটে। খেটে খাওয়া মানে যারা দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও রয়েছেনে বিপদে। তবে আশার কথা হলো বাংলাদেশ সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যক্তি উদ্যোগী কিছু মানুষ প্রতিনিয়তই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানবিক সহায়তার। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠির জন্য এ সহযোগিতা আরো কতটুকু প্রয়োজন তা নির্ণয় করে বাড়ানো দরকার।
মহামারী করোনায় সমর যোদ্ধা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আমাদের উচিত তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে মহা দুযোর্গময় এ মুহুর্তে মানবতার সেবায় আরো নিয়োজিত হতে উৎসাহ প্রদান করা। দেশ ও বিশ্বের স্বার্থে আমাদেরও প্রয়োজন করোনার ভয়ে কাবু না হয়ে কঠোরভাবে নিজে সচেতন হওয়া,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, একান্ত জরুরি দরকার না হলে ঘরের বাহির না হওয়া। যদি আবারো লকডাউন আসে তা মেনে চলা। সেই সাথে প্রতিদিন যেভাবে সর্তকতা মেনে চলার কথা শুনছি,তা প্রতিদিনকার জীবনে নিয়মিত চর্চার মধ্যে নিয়ে আসা। এতেই করেই একদিন থমকে থাকা পৃথিবী আবারো হয়ে উঠবে সচল।
_____________________
লেখকঃ শফিকুর রহমান রাজু
লেখক ও সংবাদকর্মী