বিয়ানীবাজারে পুলিশের মানবিকতা, বড় বিপদ থেকে প্রসূতি মায়ের রক্ষা

মাহবুব জয়নুল মাহবুব জয়নুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ 256 views
শেয়ার করুন

বিয়ানীবাজার থানার এস আই নিয়াজ মুর্শেদ আবির তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিয়ানীবাজার থানা এলাকায় ডিউটি চলাকালে দেখতে পান ২জন লোক হতভম্ব হয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছেন। ঘটনা আঁচ করতে তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন ঘরে ডেলিভারি একজন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন তাই হাসপাতালে নিতে গাড়ি খুজছেন তারা। কিন্তু তখন ভোর প্রায় ৫টা। সড়ক একেবারেই ফাঁকা। গাড়ি পাওয়া অনেকটা অসম্ভব।

 

যথাসময় হাসপাতালে না নিতে পারলে বড় বিপদ হতে পারে এমন চিন্তায় পুলিশের টহল গাড়ি নিয়ে ছুটেন রোগীর বাড়ি। সেখান থেকে তাকে গাড়ি করে তুলে পৌঁছে দেন হাসপাতালে। সেখানে যাওয়া আধা ঘন্টার মধ্যেই ভূমিষ্ট হয় ফুটফুটে নবজাতক। রোবার দিবাগত রাতে সেই ঘটনা নিয়ে এস আই নিয়াজ মুর্শেদ আবিরের ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো-

 

 

 

আমার চাকরির অন্যতম একটা Satisfaction হলো বিপদে মানুষের পাশে থাকতে পারার সুযোগ পাওয়াটা।

 

রাত তখন ৪.৫০। সারা দিন প্রচন্ড গরমে দৌড়া দৌড়ি করে সারা রাত ডিউটি চলমান। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে দুইজন পুরুষলোকের উদভ্রান্তের মত রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে দৌড়াতে দেখে ডিউটির গাড়ি নিয়ে আগায়ে গেলাম সমস্যা জানার জন্য। জানতে পারলাম উনাদের বাসায় ডেলিভারির পেশেন্ট৷ কিন্তু গাড়ী পাচ্ছে না হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। তারাহুরো করে গাড়ী নিয়ে গেলাম তাদের বাসার সামনে। পেশেন্টের অবস্থা বেগতিক দেখে সময় নষ্ট না করে তাকে গাড়ীতে তুলে রওয়ানা করলাম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে৷ পেশেন্টকে তার পরিবারসহ হাসপাতালে রেখে আবার কিলো ডিউটির ডাকে রাস্তায় নামা। প্রচন্ড বৃষ্টিতে তখনও এই ক্লান্ত পৃথিবী নিজেকে সতেজ করে নিচ্ছে যেন।

 

এখন সকাল ৫ টা ৪৩। মাত্রই খবর পেলাম ঐ দম্পতিকে আল্লাহ সুবাহানাল্লাহতায়ালা একটি পুত্র সন্তান দান করেছেন। এই এক খবরে সমস্ত ক্লান্তি কই যেন মিলিয়ে গেল।

 

পোষাকটা গায়ে চড়াতে পারি বলে খুব গর্ব হয় মাঝে মধ্যে।

শুকুর আলহামদুলিল্লাহ।