জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ঢাকা আয়োজিত সাভার উপজেলা মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের কথকথা নিয়ে নাটক ” জনকের মৃত্যু নেই”।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা’র প্রযোজনা ”জনকেরমৃত্যু নেই”রচনা : আব্দুল হালিম আজিজ, নির্দেশনা: স্মরণ কুমার সাহা ৫ ম মঞ্চায়ন মঙ্লবার ১৫ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭.৪৫ সাভার উপজেলা মিলনায়তনে হয়।
নাটকেরকথা
জনকেরমৃত্যু নেই নাটকটিতে গতানুগতিক ধারার বাইরে বঙ্গবন্ধুর লেখা” অসমাপ্ত আত্মজীবনী”গ্রন্থ থেকে তার সংগ্রামী জীবনের নানা চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমান। নিপীড়িত মানুষের মুক্তির মহামানব বঙ্গবন্ধু। যার অকুতোভয় নেতৃত্বে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙ্গালী উড়িয়েছে লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধু ও বাঙ্গালীর বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি। তাই স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌছে যাবার আগেই তাকে হত্যা করে বাঙ্গালীর বিজয়কে অন্ধকারে ঢেকে দেয়। শুধু তাই নয় হত্যাকারীদের বাঁচাতে জারি করা হয় ইনডেমনিটি এ্যাক্ট, একই সময় যারাই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবী করেছে সামরিক জান্তারা তাদেরই টুটি চেপে ধরেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হলো এই বাংলার অমর কাব্যের কবি, কোন শাসকই বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারেনি । ২১ বছর পর বাতিল হয়েছে কালো আইন। বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছে হত্যাকারীদের। বঙ্গবন্ধুর আলো ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র, সে আলোয় আলোকিত আমরা সবাই।
নির্দেশকের কথা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সম্মানিত চেয়ারম্যান ঋত্বিক নাট্য প্রাণ লিয়াকত আলী লাকীর তত্ত্বাবধানে ও অনুপ্রেরনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমানের জন্ম শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বন জয়ন্তী উপলক্ষে দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চস্থ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের কথ-কথা নিয়ে নানা নাটক। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা জেলা শিল্পকলা একাডেমিরতে নির্মিত হয়েছে ” জনকেরমৃত্যু নেই”। নাটকটি রচনা করেছেন নাট্যকার আব্দুল হালিম আজিজ ও নির্দেশনার দায়িত্ব পেয়েছি আমি, জনকেরমৃত্যু নেই নাটকটিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমানের সংগ্রামী জীবন, আত্মত্যাগ, আমাদের মহান স্বাধীনতা, ১৫ আগষ্টের নৃশংস হত্যাকান্ড, ইনডমেনিটি অধ্যাদেশ সহ নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম নতুন করে বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। নাটকটি নির্মানের প্রাক্কালে আমাদের শ্রদ্ধেয় নাট্যজন প্রয়াত এস এম মহসিন নানা ভাবে পরামর্শ দিয়ে আমাকে সমৃদ্ধ ও সাহস যুগিয়ে ছিলেন অনেক কৃতজ্ঞতা ও বিনম্র শ্রদ্ধা তার প্রতি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানভীর নাহিদ খান তার সহযোগীতায় কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ রেখেছেন। কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন নাটকের সকল কলাকুশলীব গন, জাগরনী থিয়েটার। ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি, সদস্য সচিবসহ কমিটির সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আমার উপর আস্থা রাখার জন্য।
কলাকুশলী :
(মঞ্চে) রফিকুল ইসলাম রনি, সজিব ঘোষ, বিধান বিশ্বাস, পল্লব সরকার, শেখ ফিরোজ, শ্রাবণ সূত্রধর, শ্রেয়া সাহা, আশিক, অনিশা, অপেক্ষা।(নেপথ্যে) কোরিওগ্রাফি: অনিকেতপাল, আলো: অম্লান বিশ্বাস, নির্দেশনা সহযোগী: শাহানা জাহান সিদ্দিকা, পোষাক : সঞ্জয় নাহা, মিউজিক: শোয়েব হাসনাত মিতুল ও শেখ আকাশ, প্রযোজনাঃ জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা।