জাগরণী থিয়েটারের ২৭ বছর পূর্তিতে মঞ্চায়ন হবে ‘জনকের মৃত্যু নেই’

তপু ঘোষাল তপু ঘোষাল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১ 1,978 views
শেয়ার করুন

স্বনামধন্য নাট্য সংগঠন জাগরণী থিয়েটারের ২৭ বছরপূর্তি আগামী ১ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে বিশেষ কর্মসুচী হাতে নিয়ে নন্দিত এই নাট্য সংগঠন। কর্মসুচীর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠা বার্ষীকির আলোচনা, গুণীজন সংবর্ধনা ও ‘জনকের মৃত্যু নেই’ নাটকের মঞ্চায়ন । আগামী ১ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫-৩০ মিনিটে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান এমপি। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল গনি, অভিনয় শিল্পী ও পরিচালক অরুনা বিশ্বাস, অভিনয় শিল্পী ও সংগঠক আহসান হাবিব নাসিম । ২৭ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জাগরণী থিয়েটারের সভাপতি রাশেদ আহমেদ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এসডিজি অর্জনে জেন্ডার-রেসপন্সিভ সেবা ক্যাটাগরিতে ‘জাতিসংঘ সেবা পদক ২০২১’ অর্জন ও জাগরণীর ২৭ বছরের পথচলায় বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমিকা ও সহযোগিতা করায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমানকে জাগরণী থিয়েটারের আয়োজনে সাভারের বিভিন্ন সংগঠনের সংস্কৃতিকর্মীরা সংবর্ধনা দেবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার নাটক ‘জনকের মৃত্যু নেই’। আব্দুল হালিম আজিজ রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন স্মরণ সাহা ।

‘জনকের মৃত্যু নেই’ নাটকের কথা জনকের মৃত্যু নেই নাটকটিতে গতানুগতিক ধারার বাইরে বঙ্গবন্ধুর লেখা ”অসমাপ্ত আত্মজীবনী” গ্রন্থ থেকে তার সংগ্রামী জীবনের নানা চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিপীড়িত মানুষের মুক্তির মহামানব বঙ্গবন্ধু। যার অকুতোভয় নেতৃত্বে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙ্গালী উড়িয়েছে লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু পরাজিত শত্রæরা বঙ্গবন্ধু ও বাঙ্গালীর বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি। তাই স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌছে যাবার আগেই তাকে হত্যা করে বাঙ্গালীর বিজয়কে অন্ধকারে ঢেকে দেয়। শুধু তাই নয় হত্যাকারীদের বাঁচাতে জারি করা হয় ইনডেমনিটি এ্যাক্ট, একই সময় যারাই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবী করেছে সামরিক জান্তারা তাদেরই টুটি চেপে ধরেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হলো এই বাংলার অমর কাব্যের কবি, কোন শাসকই বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারেনি। ২১ বছর পর বাতিল হয়েছে কালো আইন। বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছে হত্যাকারীদের। বঙ্গবন্ধুর আলো ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র, সে আলোয় আলোকিত আমরা সবাই।

‘জনকের মৃত্যু নেই’ নাটকের নির্দেশক স্মরণ সাহা বলেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সম্মানিত চেয়ারম্যান ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকীর তত্ত্বাবধানে ও অনুপ্রেরনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বনজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে মঞ্চস্থ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের কথকথা নিয়ে নানা নাটক । তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা জেলা শিল্পকলা একাডেমির তত্তা বধানে নির্মিত হয়েছে ‘জনকের মৃত্যু নেই’। নাটকটিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন, আত্মত্যাগ, আমাদের মহান স্বাধীনতা, ১৫ আগষ্টের নৃশংস হত্যাকান্ড, ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ সহ নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম নতুন করে বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। নাটকটি নির্মানের প্রাক্কালে আমাদের শ্রদ্ধেয় নাট্যজন প্রয়াত এস এম মহসিন নানা ভাবে পরামর্শ দিয়ে আমাকে সমৃদ্ধ ও সাহস যুগিয়েছিলেন অনেক কৃতজ্ঞতা ও বিনম্র শ্রদ্ধা তার প্রতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানভীর নাহিদ খান তার সহযোগীতায় কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ রেখেছেন। কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন নাটকের সকল কলাকুশলীবগন, জাগরনী থিয়েটার। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি, সদস্য সচিবসহ কমিটির সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।

‘জনকের মৃত্যু নেই’ নাটকের কলাকুশলীরা হলেন মঞ্চে রফিকুল ইসলাম, সজিব ঘোষ, বিধান বিশ্বাস, আরিফ ফারহান খান, পল্লব সরকার, শেখ ফিরোজ, শ্রাবণ সূত্রধর, ইমন হোসেন, শ্রেয়া সাহা, আশরাফুন্নেচ্ছা বর্ষা, মোঃ আহনাফ । নেপথ্যে কোরিওগ্রাফি অনিকেত পাল, আলো অম্লান বিশ্বাস, নির্দেশনা সহযোগী শাহানা জাহান সিদ্দিকা, পোষাক সঞ্জয় নাহা, মিউজিক শোয়েব হাসনাত মিতুল ও শেখ আকাশ।