মালয়েশিয়ার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম: আবেদনকারিরা কোম্পানির অফিসেই করতে পারবেন ফিঙ্গার

প্রকাশিত: ১১:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ 260 views
শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় অবৈধদের বৈধতার, রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামে  আবেদনকারিরা এখন থেকে  কোম্পানির অফিসেই করতে পারবেন ফিঙ্গার প্রিন্ট।   দেশটির ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেআইএম) চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম (আরটিকে) বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর সহায়তার ‘আউটরিচ’ করতে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আরটিকে (RTK)- এর নিবন্ধিত এসএনসিয়াল (ESSENTIAL) যাচাইকরণ প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে জেআইএম নিয়োগকর্তার ক্ষেত্র / প্রাঙ্গনে ‘আউটরিচ’ বায়োমেট্রিক গ্রহণ প্রয়োগ করে। এই প্রোঅ্যাক্টিভ স্টেপ নিয়োগকর্তার মাধ্যমে যারা বেশি পরিমাণে কর্মী নথিভুক্ত করেছেন তাদের প্রয়োজনীয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার জন্য জেআইএম-এর অফিসে যেতে হবে না।
এই ‘আউটরিচ’ এক্সিকিউশন সময় বাঁচাতে পারে এবং ক্ষেত্রটিতে বায়োমেট্রিক গ্রহণের পরে নিয়োগকর্তাদের চলাচল এবং এসেন্স হ্রাস করতে পারে, এমনটি জানানো হয়েছে অভিবাসন বিভাগ থেকে।
গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া শ্রম পুনরুদ্ধার রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচির মেয়াদ ছিল জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এই সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
রিক্যালিব্রেশনের আওতায় পুনরুদ্ধার কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮ জন অভিবাসী নিবন্ধিত হয়েছেন। বৈধ হতে নির্দিষ্ট শর্ত আরোপ করে কিছু যোগ্যতা চেয়েছিল দেশটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ। যারা বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় এসে ভিসায় উল্লেখিত নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করছেন কিন্তু ভিসা রিনিউ করেননি বা ওভার স্টে হয়েছে, যারা নিজ কোম্পানিতে কাজ করেননি এবং যারা নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে গেছেন তারা এই প্রক্রিয়ায় বৈধ হতে পারবেন। তবে, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা এমন অনিয়ম করেছেন তারাই এই সুযোগ পাবেন। এর পরবর্তী সময়ে কেউ এসব অপরাধ করলে তারা এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাবেন না।
২০১৬ সালে ঘোষিত ‘রি-হায়ারিং’ বৈধকরণ কর্মসূচির সঙ্গে চলমান এই রিক্যালিব্রেশনের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বিষয়টি বুঝতে না পারলে রয়েছে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি। যেমন- রি-হায়ারিংয়ে নৌ, সাগর বা স্থলপথে অবৈধভাবে যারা অনুপ্রবেশ করেছিল তাদেরও বৈধতা দিয়েছিল দেশটি। এ কর্মসূচিতে সে সুযোগ নেই। ওইবার বিভিন্ন ভিসাধারীদেরও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে চলমান করোনা মহামারির কারণে কোনো দেশেই নতুন করে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। সরকারগুলো এখন নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি দেশে থাকা বিদেশিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আনারও কৌশল নিয়েছে মালয়েশিয়া।