সিলেটের বিয়ানীবাজারে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সং’ঘর্ষ, ৪ কলেজ ছা’ত্রী আহত, একজনকে সিলেট প্রেরণ

মাহবুব জয়নুল মাহবুব জয়নুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ 448 views
শেয়ার করুন

 

সিলেটের বিয়ানীবাজারের জলঢুপ হয়ে উঠেছে একটি দুর্ঘটনা প্রবণ অঞ্চল। এই অঞ্চলের দুর্ঘটনা যেন কমছেই না। কিছুদিন পূর্বে জলঢুপের বাকে সড়ক দুর্ঘ’টনায় প্রাণ হারান একজন স্কুল শিক্ষক। সেই শোক আজ ও বয়ে বেড়াচ্ছে তার পরিবার। ছোট খাটোও দুর্ঘটনা অহরহ ঘটে এই অঞ্চলে।

বুধবার(২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম আঞ্চলিক মহা সড়কে জলঢুপ উচ্চ বিদ্দ্যালয়ের সামনে আবার ও ৪ কলেজ শিক্ষার্থী দুর্ঘ’টনার কবলে পড়েন। জানা যায় তারা কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সিএনজি চালিত অটো রিক্সায় থাকা ঐ শিক্ষার্থীরা জলঢুপ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে ঐ সিএনজির।

তাতে ঘটনা স্থলে গুরুতর আ’হত হন ঐ ৪ শিক্ষার্থী। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ৪ কলেজ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসা হয় বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতা’লে প্রেরণ করেন। গুরুতর আ’হত ঐ শিক্ষার্থীর নাম হচ্ছে রাশেদা বেগম(১৮)।

জানা যায় তিনি বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তারা হচ্ছেন একই কলেজের শিক্ষার্থী মুরশেদা বেগম (১৮), তান্নি বেগম(১৯), জেরিন বেগম(১৯)। তাদের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজে’লার মুল্লাপুর গ্রামে এবং একজন শিক্ষার্থীর বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজে’লার বারইগ্রামে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে জরুরীবিভাগে দায়িত্বরত সহকারী মেডিকেল অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে

ঐ ৪ শিক্ষার্থী বাড়ি ফেরার সময় কী’ ঘটেছিল। কেমন করেই বা তারা পড়েছিলেন দুর্ঘ’টনার কবলে। আ’হত শিক্ষার্থী মুরশেদা বেগম বলেন তারা বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ করেই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে তাদের সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ধাক্কা লাগে। তারপর তিনি আর কিছু বলতে পারেন না।

এদিকে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী রাশেদা বেগমের স্বজন শিব্বির আহমদ জানান তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এম্বুল্যান্সে তাকে সিলেট নিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে আহত শিক্ষার্থী মোরশেদা বেগমের স্বজন ময়নুল আল ইস’লাম জানান বারবার কেন এমন মর্মা’ন্তিক দুর্ঘটনা কবলে পড়তে হয় এই অঞ্চলে। তবে কী’ তার কোন প্রতিকার নেই? তার প্রশ্ন ছিল কেন এসব অদক্ষ ড্রাইভা’রদের হাতে কেন গাড়ি তুলে দেওয়া হয়? যদিও সদুত্তর ছিল না কারো কাছে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার উপজে’লা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ছুটে আসে ১১ নং লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন। আহতদের দেখে স্বজনদের সান্তনা দিয়ে তিনিও নিরাপদ সড়কের দাবী করেন।