গরু-খাসির মাংসের নামে আমরা কী খাচ্ছি?

নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২১ 380 views
শেয়ার করুন

উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত বাঙালির খাবারের তালিকায় মেন্যু হিসেবে গরু ও খাসির মাংস থাকা অত্যন্ত স্বাভাবিক চিত্র। আবার নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ক্ষেত্রে সেটা নিত্যদিনের দৃশ্য না হলেও তাদের পকেটে অর্থ এলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গরু-খাসির মাংসের নানা ব্যাঞ্জন তৈরির পর আয়োজন করে খেতে ভালোবাসেন তারা।

 

সব মিলিয়ে ভোজনরসিক বাঙালির প্রিয় মেন্যু গরু-খাসি। এ ছাড়া রাজধানীসহ সারাদেশে শত শত বিরিয়ানির দোকানও রয়েছে। সেখানে বিরিয়ানি তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় গরু ও খাসির মাংস। তবে গরু-খাসির মাংসের নামে আমরা কী খাচ্ছি? এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেশে আমদানি করছে হিয়ামিত মহিষ, ভেড়া ও দুম্বার মাংস। যার একটি বড় অংশ মেয়াদোত্তীর্ণ।

 

বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই আমদানি করা দুম্বা-ভেড়ার মাংস দেশে ঢুকেই হয়ে যাচ্ছে খাসি এবং মহিষ হচ্ছে গরু। পাঁচতারকা হোটেল, সুপারশপ থেকে শুরু করে রাজধানীসহ দেশের চার শতাধিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের প্রতারণা করে ভোক্তাদের নকল খাসি ও গরুর মাংস খাওয়াচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য হলো, আমদানি করা মাংস জীবাণুমুক্ত কি-না, তাও যাচাই হচ্ছে না। মেয়াদহীন ও জীবাণুযুক্ত মাংস থেকে অনেক রোগের ঝুঁকি থাকে। সমকালের অনুসন্ধানে দেশে হিমায়িত মাংস আমদানি এবং এ নিয়ে চরম অরাজকতার নানা দিক উঠে এসেছে।

 

দেশীয় খামারি ও কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার হিমায়িত মাংস আমদানি কয়েক বছর ধরে নিরুৎসাহিত করে আসছে। এরপরও কেউ হিয়ামিত মাংস আমদানি করতে চাইলে ২০০৫ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী তাকে আগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। মাংসের নমুনা জমা দিয়ে তা রোগমুক্ত কি-না সেই সনদও নিতে হবে। এ ছাড়া হিমায়িত মাংসের চালান দেশে ঢোকার সময় বন্দরে অবশ্যই কোয়ারেনটাইন কর্মকর্তার মাধ্যমে তা আবারও পরীক্ষা করানোর বিধান রয়েছে।

 

তবে এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র দেশে শত শত টন হিয়ামিত মাংস আমদানি করছে। তা আসছে জাহাজের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে। পরে বিভিন্ন হাত ঘুরে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস যাচ্ছে মানুষের পেটে।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক সমকালকে বলেন, আইনে রয়েছে হিমায়িত মাংস আমদানি করতে হলে অবশ্যই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছ থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট-এনওসি’ নিতে হবে। খাদ্যে জীবাণু শনাক্তে দেশের সব বিমান ও নৌবন্দরে কোয়ারেনটাইন স্টেশনও রয়েছে। সেখানে মাংসের নমুনা পরীক্ষা করাতে হয়। এতে যদি দেখা যায় ওই মাংসে জীবাণু নেই তাহলে দেশের ভেতরে তা ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে মাংস আমদানি করছে। তারা কেউ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে মাংস আমদানির অনুমতি নেয়নি। তাই দেশে যেসব হিমায়িত মাংস ঢুকেছে তার পুরোটাই অবৈধভাবে এসেছে।

 

 

তাহলে কীভাবে দেশে হিমায়িত মাংস আমদানি করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, আমদানি নীতিতে মাংস আমদানির ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। আমদানি নীতির ওই অস্পষ্টতার সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এ ছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অজ্ঞতার কারণে তারা এতদিন কোয়ারেনটাইন কর্মকর্তার এনওসি ছাড়াই মাংস দেশে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমদানি নীতি সংশোধন করে নতুন শর্ত আরোপের কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক সমকালকে বলেন, কী ধরনের তাপমাত্রায় রাখা হচ্ছে সেটা বিবেচনা করে মাংসের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর মাংস খেলে তাতে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এ ধরনের মাংস কীভাবে দেশে এলো, সেটা খতিয়ে দেখতে ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

 

চট্টগ্রামের কাস্টমস কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, মাংস আমদানির ক্ষেত্রে আইনে যা রয়েছে সেটা আমদানি-রফতানি নীতিমালায় সংযোজন করা না হলে এ ধরনের চালান বন্ধ করা যাবে না। কারণ কোনো চালানের ক্ষেত্রে আমদানি-রফতানির নীতিমালাকে গাইডলাইন হিসেবে দেখা হয়। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি তার সম্পর্কিত আইনের ধারা আমদানি-রফতানি নীতিমালায় সংযুক্ত করতে না পারে সেটা তাদের ব্যর্থতা। তবে কেউ যদি কোনো একটি পণ্য এনে অন্য পণ্য হিসেবে বিক্রি করে, সেটা বেআইনি।

 

 

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সমকালকে বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা অধিক মুনাফার আশায় মেয়াদহীন মাংস দেশে এনে হিমাগারে মজুদ করেছেন। এটা পুরোপুরি অনৈতিক ও বেআইনি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ ধরনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছেন। আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে খোঁজা হচ্ছে। যারা খাবারের নামে বিষ বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, বন্দর হয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস কীভাবে দেশে ঢুকছে, তা বোধগম্য নয়। অনেক চালানে আবার দেশে প্রবেশের পর তার গায়ে ইচ্ছামতো মেয়াদের স্টিকার সাঁটানো হয়েছে। বেশ কিছু নকল স্টিকার হিমাগারে পাওয়া গেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কিছু গুদামে মাংস রেখে তা দেদার বিক্রি করা হয়েছে। এই অনিয়ম দূর করা না গেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে।

 

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রবিউল আলম সমকালকে বলেন, সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের কিছু লোকজনকে ম্যানেজ করে কয়েকটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে হিমায়িত মাংস আনছে। এতে দেশীয় খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। আর দেশীয় গরু-মহিষ জবাই করার সংখ্যা কমে যাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর প্রভাব পড়বে চামড়াশিল্পেও।

 

ঢাকা জেলার পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া মাংস আমদানি করলে তার মধ্যে ইকোলাই, অ্যানথ্রাক্স, তড়কা রোগের জীবাণু থাকতে পারে। এ ছাড়া ওই পশু খুরা রোগে আক্রান্ত ছিল কি-না, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তাই এ ধরনের মাংস খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দিনে মাথাপিছু ১২০ গ্রাম হিসেবে দেশে প্রতি বছর মাংসের চাহিদা রয়েছে ৭২ লাখ টন। দেশে প্রতি বছর প্রায় সমপরিমাণ মাংস উৎপাদনও হচ্ছে। তাই দেশীয় খামারি ও কৃষকদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে মাংস আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়। তবে কূটনীতিকরা মাংস আনার ক্ষেত্রে কিছু ‘প্রিভিলাইজ’ পান।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি দেশি সুপার এগ্রো লিমিটেড থেকে দেশের নামি একটি সুপারশপের শাখার নামে ৫ কেজি দুম্বার মাংস কেনা হয়। প্রতি কেজির দাম ধরা হয়েছে ৬৬০ টাকা। ওই অর্ডারের বিল নম্বর হলো- ০৩৩৩০০। কাস্টমস ইনভয়েস কপি থেকে ক্রেতার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে গত ১১ মার্চ ওই প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, তাদের সুপারশপের ওই ব্রাঞ্চে কখনই দুম্বার মাংস বিক্রি করা হয় না। গরু-খাসি, মুরগি, কবুতর নিয়মিত বিক্রি করেন তারা। ওই দিন খাসি প্রতি কেজি তারা বিক্রি করেছেন ৮৪০ টাকা, গরু ৫৪০ টাকা। তাহলে তার নামে কেনা দুম্বার মাংস গেল কোথায়- এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বলেন, বিষয়টি তিনি বলতে পারবেন না। এ সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই।

 

একাধিক সুপারশপ ও অন্যান্য রেস্টুরেন্ট ও হোটেল সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সেখানে গত তিন মাসেও দুম্বা-ভেড়ার মাংস বিক্রি করা হয়নি। তবে তাদের নামে আমদানি করা হিমায়িত মাংস প্রায় নিয়মিত কেনা হয়েছে। মূলত তারা আমদানি করা মহিষ, ভেড়া ও দুম্বার মাংস কিনে অন্য মাংস বলে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।

 

অনেক আগেই মেয়াদ শেষ :যেসব প্রতিষ্ঠান হিমায়িত মাংস আমদানি ও তা হিমাগারে রাখার সঙ্গে যুক্ত তাদের মধ্যে রয়েছে সেভ অ্যান্ড ফ্রেশ ফুড লিমিটেড, মেসার্স শিকাজু ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, দেশি সুপার এগ্রো, প্যারামাউন্ট, ফুড চেইন এশিয়া, এমএস ট্রেডার্স, সেন্টমার্টিন ফিশারিজ ও এসবি হিমাগার। সম্প্রতি এসব হিমাগারে র‌্যাব ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে প্রায় দুই হাজার ২২০ মণ মেয়াদোত্তীর্ণ মহিষ, ভেড়া ও দুম্বার মাংস জব্দ করে। পরে জব্দ করা বিশাল এই মাংস ডাম্প করা হয়। এ ছাড়া হিমাগারে মজুদ মেয়াদযুক্ত বাদবাকি মাংসের পরীক্ষার সনদ না পাওয়া পর্যন্ত বিক্রি করার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

 

সংশ্নিষ্টরা জানান, ভারত থেকে মহিষ, ইথিওপিয়া থেকে দুম্বা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে ভেড়া আনা হয়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আরও কয়েকশ’ টন হিমায়িত মাংস দেশে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। শিকাজু ও দেশি সুপারের হিমাগার থেকে জব্দ ৮০০ মণ মাংসের মধ্যে দুম্বার মাংসের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর, ভেড়া ও মহিষের মাংসের মেয়াদ শেষ হয় একই বছরের জুলাইয়ে। ২৬ ফেব্রুয়ারি সেফ অ্যান্ড ফ্রেশ থেকে জব্দ এক হাজার ১০০ মণ মাংসের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০১৭ সালের জুলাইয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি মাংসের গড় দাম পড়েছে ২৪০-২৫০ টাকা। কলিজার দাম পড়ে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা।

 

যারা জড়িত :বিদেশ থেকে হিমায়িত মাংস আমদানি ও এ ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তারা হলেন- শিকাজু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কর্ণধার কায়সার মজিদ, মো. কামাল, মো. বাবু, সজীব ব্যাপারি, মোফাজ্জল হোসেন, সুমন মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, একেএম আলমগীর, আলমগীর মাহবুবুর রহমান, সৈকত মল্লিক, আবদুস সালাম, ইমরান খান, মজিবুর রহমান ও মোরশেদ আলম। দেশি সুপারের আনোয়ার হোসেন, আলমগীর হোসেন, আবদুস সোবহান ও নিজাম উদ্দিন। সেভ অ্যান্ড ফ্রেশ ফুডের আলামিন চৌধুরী, শরৎ রোজারিও, আবু সাঈদ মাসুম ও আক্তার হোসেন। ফুড চেইন এশিয়ার তানভীর কায়সার, মোক্তাদির ভূঁইয়া ও সিহাব সরকার। প্যারামাউন্টের আবুল হোসেন ও অনিথ ইসলাম। শিকাজুর মার্কেটিং অফিসার মনির হোসেন সমকালকে বলেন, দেশি সুপার এগ্রো নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস শিকাজুতে ছিল। র‌্যাব অভিযান চালিয়ে সেই মাংস জব্দ করেছে। র‌্যাবের অভিযানের পর কারওয়ান বাজারের সেভ অ্যান্ড ফ্রেশ ফুডের হিমাগারে সরেজমিনে দেখা যায়, সেখান থেকে এখনও বিক্রি হচ্ছে হিমায়িত মাংস ও মাছ।

 

যেসব প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে হিমায়িত মাংস :সমকালের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে মেয়াদোত্তীর্ণ হিমায়িত মাংস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে যারা নিয়মিত মাংস কিনত তাদের মধ্যে রয়েছে ২৬৮টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। অন্য ক্রেতাদের মধ্যে কসাই ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আছে। যারা হিমায়িত মাংসের ক্রেতা তাদের মধ্যে রয়েছে পল্টনের বিজয় ৭১ হোটেল, উত্তরার জোনাকি রেস্টুরেন্ট, ধানমণ্ডির কাচা লংকা, স্প্রিং অনিয়ন, ক্যাফে ঝিল, খুশবু বিরিয়ানি, ক্যাফে-৫২, ক্যাফে নাম্বার-১, আনন্দ রেস্টুরেন্ট, আল মুসলিম হোটেল, খাজা কাবাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু হল, মুহসীন হল, এফ রহমান হল, রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেল, ধানমণ্ডির হোটেল খাবার, মগবাজারের আমিনা রেস্টুরেন্ট, নিকুঞ্জের মক্কা বিরিয়ানি, খিলগাঁওয়ের কুমিল্লা হোটেল, নয়াটোলার জিয়া হোটেল, বিমানবন্দর হজ ক্যাম্পের মদিনা হোটেল, কুড়িলের দারুচিনি, মালিবাগের মীম বিরিয়ানি, ওয়ান স্টপ ফুড, শাহ আলী তেহারি, ঘোষ বিরিয়ানি, বাড্ডা কাবাব, গোল্ডেন গেট, ওয়াটার গার্ডেন, এম এম মাংস বিতান, সততা মাংস বিতান, ভাই ভাই ট্রেডার্স, ফকিরাপুলের বিসমিল্লাহ হোটেল, পল্টনের আকাশ হোটেল, শুদ্ধ রেস্টুরেন্ট, মিরাজ বিরিয়ানি, মৌটুসী হোটেল, আজমপুরের আবুল হোটেল, কক্সবাজার রেস্টুরেন্ট, কদমতলীর মায়ের দোয়া হোটেল, সোনালী হোটেল, বায়েজিদ হোটেল, মদিনা হোটেল, মা-আমিনা হোটেল, খাজা কাবাব, ঊর্মি বিরিয়ানি, তাজমহল কাবাব, মোগল দরবার, বিসমিল্লাহ বিরিয়ানি, ভাই ভাই ট্রেডার্স, আল-হালাল মিট, আল মুসলিম হোটেল, আজাদ বিরিয়ানি, কর্ণফুলী রেস্টুরেন্ট, ওয়ান স্টপ ফুড, তিন কন্যা খাবার হোটেল, সাগর হোটেল, হায়দরাবাদ বিরিয়ানি, লালবাগ বিরিয়ানি, শাহীন মাংস বিতান, লাটমিয়া মাংস বিতান, ডিপেন্ড ট্রেডার্স, ঘরোয়া হোটেল, চায়না পার্ক রেস্টুরেন্ট, ভাগ্যকূল হোটেল, হ্যালো চিকেন, অপূর্ব হোটেল, এ আর সুপারশপ, বরিশাল হোটেল, ক্যাফে গ্র্যান্ড অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, ফ্রেশ চিকেন, রয়েল বিরিয়ানি, সিটি ক্যাফে, কর্ণফুলী রেস্টুরেন্ট, গুলশান বিরিয়ানি, চট্টগ্রামের শামীম স্টোর, হোটেল কস্তুরী, পাতিল রেস্টুরেন্ট, কাশেম হোটেল, আহমদিয়া হোটেল, মোহাম্মদীয়া হোটেল, ক্যাফসিকেফ ফুড, আল নূর রেস্টুরেন্ট, মা হোটেল, জাহাঙ্গীর গোস্ত বিতান, সজীব মাংস বিতান, ফ্রেন্ডস-৩৩, আনন্দ রেস্টুরেন্ট, শাহজাহান কসাই, আমন্ত্রণ বিরিয়ানি, এম এম এন্টারপ্রাইজ, এআর রহমান হোটেল, সিজারস রেস্টুরেন্ট, চট্টগ্রামের টেন-১১, চট্টগ্রামের কলাপাতা, চট্টগ্রামের মা হোটেল ও মোতাহার হোটেল প্রভৃতি।

 

 

ট্যারিফ কমিশনের উদ্বেগ :সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে শিক্ষিত বেকার যুবকরা গরু পালন ও গরু মোটাতাজাকরণ কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে গরু কেনা, গরু লালন-পালন, গরুর সংকরায়ণ, দুগ্ধজাতীয় খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও বিপণন খাতে বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়েছে। দেশে সরকারি ও বেসরকারি গবাদিপশু পালনে ব্যাপক বিনিয়োগ হচ্ছে। কমিশন বলছে, হিমায়িত মাংস আমদানি বাড়লে এসব খামারির ক্ষতি হবে। পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ আদায় কঠিন হবে। প্রতিবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।